তিস্তা নদীর চরে আলু উত্তোলনে ব‌্যস্ত কৃষকরা

তিস্তা নদীর চরে আলু উত্তোলনে ব‌্যস্ত কৃষকরা

লালমনিরহাটে এবার আগাম আলু চাষ হয়েছে । ফলে এ জেলার অনেক কৃষকের ভাগ্য বদলের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতে ভূমিকা রাখছে এ অঞ্চলের কৃষকরা। স্থানীয় বাজারে চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে এ আলু ।

আগাম আলু উত্তোলনকে ঘিরে কৃষক-ক্ষেত মজুর ব্যস্ত সময় পার করছেন। বৃষ্টিতে দূষণ কমে ঢাকার বাতাসে ‘স্বস্তি’ জানা যায়, প্রতি বছর এ জেলার তিস্তা নদীর চরাঞ্চল গুলোতে ক্ষুদ্র-প্রান্তিক কৃষকরা আগাম বাজার ধরার আশায় আগেভাগে আলুর বীজ বপণ করেন। বর্তমানে সেই ক্ষেত থেকে আলু উত্তোলন শুরু হয়েছে।

বাড়তি ঝামেলা ছাড়াই ক্ষেতের আলু ক্ষেতে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া কয়েক দিনের মধ্যে পুরোপুরি মাঠ থেকে আলু উত্তোলন শুরু হবে। চলতি বছর জেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ৩ শত হেক্টর জমিতে। তিস্তা নদীর চর গুলো ঘুরে দেখা যায়, আলুর মাঠে কেউ মাটি খুড়ছে, কেউ কুড়াচ্ছে।

টহল গাড়িতে জামায়াত-শিবিরের হামলা ৪ পুলিশ আহত

কোথাও আবার ডিজিটাল মিটারে চলছে ওজন। ক্ষেতের মাঝে ভর্তি হচ্ছে ভ্যান, ট্রলি, ট্রাক। ক্ষেতের মধ্যে আলু তোলার এমন দৃশ্য জেলার বিস্তীর্ণ চর জুড়ে। কালীগঞ্জ উপজেলার জমিরবাড়ী চরের কৃষক মকছেদ আলী বলেন, বরাবরের মত চলতি বছর ১০ সেপ্টেম্বরে বুননকৃত জমিতে ৫৫ থেকে ৬০ দিনে ফলনযোগ্য আগাম আলু উত্তোলন করছি। জমিতে নারী-পুরুষ মিলে ১৫জন শ্রমিক কাজ করছে।

আগাম হিসেবে ফলন কিছুটা কম হলেও বাড়তি খরচ ছাড়াই ক্ষেতের আলু ক্ষেতে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলাম। ব্যবসায়ী নুরনবী বলেন, আমি এখান থেকে আলু ৭০ টাকা কেজি দরে কিনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারব।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হামিদুর রহমান বলেন বলেন, বাজারে নতুন আলু উঠতে শুরু হয়েছে। চলতি বছর অনূকুল আবহাওয়ায় আলুর বাম্পার ফলন ও চড়া দাম পেয়ে কৃষক পরিবারে সমৃদ্ধি বয়ে আনবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *